বর্ষাকালে কানের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। যখন তখন বৃষ্টিতে ভিজে কানের ভেতর পানি ঢুকে যেতে পারে। এ থেকে কানে ব্যথা ও পর্দা ফাটার ঘটনাও ঘটতে পারে।
বর্ষাকালে কানের যত্ন হিসাবে গোসলের পর শুকনো কাপড় দিয়ে কান মুছে নিন। কানের ওয়াক্স এমনিই বের হয়ে আসে। আলাদা করে কটনবাড ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কোনো কিছু দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করতে হয় না।
বরং এসব করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানে ক্ষত তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে সংক্রমণ। আর কানে ওয়াক্স জমে পাথর হয়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
সেক্ষেত্রে তিনি কানে দেওয়ার জন্য ড্রপ দেবেন। সেই ড্রপ কয়েকদিন ব্যবহারে কানের ওয়াক্স নরম হয়ে যায়।
কানে ছত্রাক সংক্রমণকে চিকিৎসার পরিভাষায় অটোমাইকোসিস বলে।
ফাঙ্গাস ছাড়াও কানে অন্যান্য সংক্রমণের কারণগুলো হলো ঠান্ডা লাগা এবং অ্যালার্জি।
স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণেও কানে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারা বছরই ঘটলেও বর্ষাকালে এ ধরনের সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়।
পাশাপাশি, কান বন্ধ, কানে অস্বস্তি, কান ফুলে যাওয়া, হালকা চুলকানি, কানে ব্যথা, শ্রবণক্ষমতা কমে যাওয়া, কান থেকে তরল নিঃসৃত হওয়া, কানে তীব্র ব্যথা হওয়া ইত্যাদি কানে সংক্রমণের উপসর্গ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।